ম্যানচেষ্টার বিমানবন্দরে আসলে কি ঘটেছিল?

শাকির হোসাইন:

ম্যানচেষ্টার  বিমানবন্দরে আসলে কি ঘটেছিল?

যুক্তরাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম ম্যানচেষ্টার  বিমানবন্দরে রবিবার এক এবং দুই নাম্বার টার্মিনাল বন্ধ ছিল। এরফলে বিমান উঠানামা করেনি। প্রায় ৯০হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।

ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে ২৩ জুন রবিবার আচমকা এর এক নম্বর এবং দুই নম্বর টার্মিনালের লাগেজ হ্যান্ডলিং বন্ধ হয়ে যায়, ডিসপ্লেগুলো কাজ করেনি, বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুতের আলো। এর ফলে প্রায় ৯০ হাজার যাত্রী পড়েন চরম বিপাকে। এই যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য বাইরে হলিডে যাওয়ার জন্য এসেছেন এবং অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য এসেছিলেন।  এই ভোগান্তির কবলে পড়ে অনেককেই বিমান বিমানবন্দরে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়। মানুষ প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে পড়েন বিশেষ করে নারী এবং শিশুরা।

এভিয়েশন অ্যানালিটিক্স কোম্পানি সিরিয়াম বলেছে যে মধ্যাহ্নভোজের সময় ৬৬টি বহির্গামী ফ্লাইট এবং ৫০টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ফ্লাইটগুলিকে হিথরু, গেটউইক সহ অন্যান্য বিমানবন্দরে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস উডরুফ বলেছেন, "একটি তারের ত্রুটির কারণে বিদ্যুতবিভ্রাট হয়। যার ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ব্যাগেজ স্ক্রিনিং বন্ধ করে হয়ে যায়"।

"এবং আমি সত্যিই দুঃখিত যে এমনটি ঘটেছে এবং নিশ্চিত করছি যে সোমবার সকাল থেকে এই সমস্যা থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, কী ঘটেছে তার করা তদন্ত হবে।